১১/০৬/২০২৫
মুন টিভি

সম্পাদকীয়

এই প্রকল্পকে বলা হচ্ছে একবিংশ শতাব্দীর ‘সিল্ক রোড’। এই প্রকল্পের ফলে সংযুক্ত হবে ৭০টিরও বেশি দেশ। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশ সংযুক্ত হবে এই নেটওয়ার্কে। সংযুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা পুরো পৃথিবীর অর্ধেক। আর দেশগুলোর সম্মিলিত দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগ। বুঝুন অবস্থা!

 

এর পোশাকি নাম ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’, উদ্যোক্তা চীন। সি চিন পিংয়ের দেশ বলছে, এটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনীতি ও যোগাযোগব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে। তবে শুরুর পাঁচ বছর পর এসে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি উন্নয়নের পথ, নাকি ঋণের ফাঁদ? চীন এই প্রকল্প দিয়ে অন্যান্য দেশগুলোর উপকার করতে চাইছে, নাকি গলায় পরাতে চাইছে ফাঁস? নিন্দুকেরা বলছেন, ঋণের ফাঁদে ফেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে চীন।

 

Eprothom Aloবেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করতে আদতে কত খরচ হচ্ছে? গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, ব্যয় হতে পারে এক লাখ কোটি ডলার। এরই মধ্যে ২১ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করে ফেলেছে চীন, যার সিংহভাগই হয়েছে এশিয়ায়। আর এই প্রকল্পের কাজগুলো একচেটিয়াভাবে করছে চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোই। ফলে, নানা দেশের সঙ্গে করা চুক্তির ফলে লাভবান হচ্ছে চীন।

ফেসবুকের চোখে মিয়ানমারের ‘আরকান আর্মি’, ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’, ‘কাচিন ইনডিপেনডেন্টস আর্মি’ ও ‘ট্যাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ নামের চারটি ভয়ংকর সংগঠন। তাই ফেসবুকে এসব গ্রুপকে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেয়।

 

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, মিয়ানমারের ভয়ংকর এসব সংগঠন তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যাতে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে তারা এসব গ্রুপ বন্ধ করে দিচ্ছে।

 

ফেসবুকের এক বিবৃতিতে বলা হয়: ‘অফলাইনে ক্ষতির বিষয়টি প্রতিরোধ করতে কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিকে আমরা সুযোগ দেব না, যাতে তারা সহিংস মিশন চালাতে পারে বা সহিংসতায় জড়াতে পারে। তাদের কোনো ফেসবুকে উপস্থিতি থাকবে না। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে বেসামরিক মানুষের প্রতি আক্রমণ ও মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়ানোর স্পষ্ট প্রমাণ আছে। আমরা তাদের আমাদের সেবা ব্যবহার করে সেখানে উদ্বেগ তৈরি ঠেকাতে চাই।’

সপ্তাহের ব্যবধানে সূচকের বড় ধরনের পতন হলেও লেনদেন বেড়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। চলতি সপ্তাহে গত সপ্তাহের চেয়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১১৮ পয়েন্ট। গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩৪৩ কোটি টাকা।

চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা, গত সপ্তাহে যা ছিল ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচকের বড় ধরনের পতন হয়েছে। কমেছে ৬৩ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। মোট লেনদেন হয়েছে ৯৯২ কোটি টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ২৩৬টির, অপরিবর্তিত আছে ২৬টির দর। গতকাল বুধবার লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক কমে ৪০ পয়েন্ট। অর্থাৎ দুই কার্যদিবসেই সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্টের বেশি। গতকাল মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ২৪ কোটি টাকা।

আজ লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে যে ১০ কোম্পানি, সেগুলো হলো ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, মুন্নু সিরামিক, গ্রামীণফোন, এশিয়ান ইনস্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, প্রভাতি ইনস্যুরেন্স, অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড, ইনটেক ও খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।

এবারের বিপিএল তাসকিনকে নতুন করে আবিষ্কার করার আসর। বিপিএল খেলেই তরুণ তাসকিন প্রথমে নজর কেড়েছিলেন। চোট ও ছন্দহীনতা মিলিয়ে গত বছরে প্রায় চোখের আড়ালে চলে যাওয়া এই পেসার নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন এবার। ২১ উইকেট আছে তাঁর নামের পাশে। আজকের ম্যাচে ২ উইকেট পেলেই বিপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটের নতুন রেকর্ড গড়বেন।

এখন পর্যন্ত রেকর্ডটা দুজনের দখলে। সাকিব আল হাসান ও কেভন কুপার। কুপার ২০১৪-১৫ আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে ৯ ম্যাচে ২২ উইকেটে নিয়েছিলেন। গত আসরে সাকিব ১৫ ম্যাচে ২২ উইকেট নেন। ১১ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে তাসকিন এই তালিকার তিনে আছেন। এক আসরে ২১ উইকেট অবশ্য আছে আবু হায়দার (২০১৫-১৬, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস) ও ডোয়াইন ব্র্যাভোরও (২০১৫-১৬, ঢাকা ডায়নামাইটস)। তবে শেষের দুজন ম্যাচ বেশি খেলেছেন তাসকিনের চেয়ে।

তাসকিন এবারের বিপিএলের শুরুটা করেছিলেন প্রথম ম্যাচে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকে। তবে পরের ১০ ম্যাচে মাত্র একবার উইকেটশূন্য থেকেছেন। ৯ ম্যাচে উইকেট তুলে নেওয়ার মতো ধারাবাহিক ছিলেন তাসকিন।

বিরাট কোহলির ভক্তরা এমন ভাবতেই পারেন। কোহলি ছিলেন না তাই ভারতের এই আশ্চর্য পতন। বিশ্রাম পেয়েছেন ভারতের নিয়মিত এই অধিনায়ক। তাঁর বিকল্প হিসেবে আজ হ্যামিল্টনে ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন রোহিত শর্মা। ওয়ানডেতে এটি ছিল তাঁর ২০০তম ম্যাচ। রোহিতও এখন ভাবতেই পারেন, মাইলফলকের ম্যাচে নেতৃত্বভার না পেলেই ভালো হতো। এমন ম্যাচে কোথায় প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলবে তাঁর দল, সেখানে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত!

অথচ নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে এই ওয়ানডে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে স্বাগতিকদের পাত্তাই দেয়নি ভারত। প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এসেছে ৯০ রান ব্যবধানের জয়। সর্বশেষ ওয়ানডেতে সিরিজ জয়ের মুখ দেখেন কোহলিরা। সেটিও ৭ উইকেটের জয়, ৪২ বল হাতে রেখে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি তখনই ৩-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ভারত। সফরকারি দলের দুর্দমনীয় খেলায় মুগ্ধ হয়ে চমৎকার রসিকতাও করেছে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ। মোট কথা, চতুর্থ ম্যাচে এসে ভারতের যে এমন আশ্চর্য পতন ঘটবে তা কেউ ভাবেনি। সবাই যেন ভুলে গিয়েছিল, ক্রিকেট এখনো গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা!

দু-এক বছর নয়, এমনকি এক দশক কিংবা এক যুগও নয়, তার চেয়েও বেশি। ১৪ বছর! রাফায়েল নাদাল আর সিসকা পেরেয়োর প্রেমের বয়স। নাদাল যখন টেনিসে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেননি, সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন, তখন থেকেই পেরেয়োর সঙ্গে প্রেম। এই মন দেওয়া-নেওয়া অবশেষে পেতে যাচ্ছে শুভ পরিণতি। নাদাল চলতি বছরের শেষ দিকে পেরেয়োকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, এমনটাই জানিয়েছে ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম। স্প্যানিশ ম্যাগাজিন ‘ওলা’ জানিয়েছে গত বছর ইতালিয়ান ওপেনে পেরেয়োকে বিয়ের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেন নাদাল।

লোকে বলে, শুভ কাজে দেরি করতে হয় না। নাদাল এ কথার ধার ধারেননি। ছোটবেলা থেকেই স্প্যানিয়ার্ডের সব মনোযোগ টেনিসে। আর সেটির ফলও পেয়েছেন। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৭টি গ্র্যান্ড স্লাম, ৩৩টি এক হাজার এটিপি মাস্টার্সসহ জিতেছেন আরও কত শিরোপা। এদিকে কালে কালে বয়স তো আর কম হলো না! ৩২ বছর চলছে। বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকতে হয় নানা টুর্নামেন্ট নিয়ে। এর মধ্যে বিয়ের সময় কোথায়! টেনিস নিয়ে পড়ে থাকতে গিয়েই ব্যক্তিগত জীবনকে সময় দেওয়ার ফুসরত পাননি নাদাল। অথচ তাঁর অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঠিকই শুভ কাজটি সেরেছেন অনেক আগেই।

দলটা যে বার্সেলোনা। সব ট্রফির জন্যই তাঁরা লড়াই করে যাবে শেষ পর্যন্ত। না হলে কি গত দশ বছরের মধ্যেই দু-দুবার ‘ট্রেবল’ সম্ভব! এবার কোপা ডেল রে শেষ আটে সেভিয়ার কাছে প্রথম লেগে ২-০ গোলে হেরে শেষ আট থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কা জেগেছিল টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নদের। লা লিগা আর চ্যাম্পিয়নস লিগকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে কোপা ডেল রে নিয়ে আগ্রহ কম বার্সেলোনার, এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল। মেসিকে কেন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল প্রথম লেগে তা নিয়েও কম কথা শুনতে হয়নি বার্সা কোচকে। তবে ফিরতি লেগের ফলই বলে দিচ্ছে কোনো টুর্নামেন্টকেই ছোট করে দেখে না বার্সা। সেভিয়ার মতো দলকে ৬-১ গোলে হারানো কি চাট্টিখানি কথা!

কাল ফিরতি লেগ জিতে মেসি বলেন, ‘এটা বলা হচ্ছিল যে কাপের আশা ছেড়ে দিয়েছি বা এটি নিয়ে আমাদের আগ্রহ নেই। বার্সেলোনায় আমরা সবকিছুর জন্য লড়াই করি। ’ এই ম্যাচ দিয়ে কোপা ডেল রে-তে গোলের ‘ফিফটি’ তুলে নিলেন মেসি, ‘গোলটি করার আগে আমি কয়েকটা সুযোগ মিস করেছি। কিন্তু ওরা কাজ সেরে রেখেছে এবং আমার গোলটা যখন হয়, তাঁর আগেই সব নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। দল অসাধারণ খেলেছে এবং আমরা পরের রাউন্ডে উঠে গেছি।’

রিজভী বলেন, গতকাল বুধবার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদন বিএনপির আমলে ঠিক ছিল। কিন্তু এখনকারটি মনগড়া। তথ্যমন্ত্রী তাঁর তথ্যযন্ত্রের মাধ্যমে এমন তথ্য দেন, যাতে শুধু দেশবাসীই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সবিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়ে।

বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘টিআইয়ের প্রতিবেদনে স্বীকার করে নিলে তো তথ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব থাকে না। এ জন্য টিআইয়ের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তাঁকে অপতথ্য দিতে হচ্ছে।’

রিজভীর ভাষ্য, প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির মাত্রা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত বলে সব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না। কেবল টিআই নয়, ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) গত সোমবার অর্থ পাচারের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে এক বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

রিজভী তাঁর বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে সুস্পষ্ট হয়েছে, এই কমিশনের তদারকিতে সুষ্ঠু ভোট হবে না।

‘তারকারা বিয়ে করবেন লুকিয়ে। এ ধারণাটা কি বিশ্বাস করেন আপনি?’ প্রশ্ন শুনেই মুচকি হাসেন মেহ্জাবীন। ‘নাহ। বিয়ে জীবনের বড় একটা ধাপ অতিক্রম করার মতো। এটা আয়োজন করে সবাইকে জানিয়ে, সবার দোয়া নিয়ে তবেই শুরু করতে হয়।’

ফেসবুকে কদিন আগে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও যাঁকে ঘিরে এমন গুঞ্জন, তাঁকে নিয়ে একটি ছবি দেখা গেছে মেহ্জাবীনের। সবাই বসে আছেন একটি মিলাদ মাহফিলে! ইনস্টাগ্রামে হাতভর্তি মেহেদির ছবি। এসেছে মেহ্জাবীনের বউ সাজার ছবিও। এত কিছুর রহস্য কী? আমরা সরাসরি এসব প্রশ্নে যাই না। বিব্রত হতে পারেন। করতে পারেন রাগও। তাই খুব সাবধানে মেহ্জাবীনের মুখোমুখি বসতে হয়।