০৭/১৩/২০২৫
মুন টিভি

বার্তা বিভাগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

আমরা মানুষ হবো কবে 

রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছিল মেয়েটা। পাশের রুমে বাবা-মাও ছিল। তারপর মধ্যরাতের দিকে বাবা-মা জান্নাতী, জান্নাতী বলে মেয়েটাকে ডেকে তুলে। ঘুম থেকে তুলে বলে একটু বাইরে বের হব চল। মেয়েটা ঘুমঘুম চোখে অবাক হয়। এতরাতে কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করতে থাকে। বাবা-মা কোন প্রকার উত্তর না দিয়েই বাইরে যাওয়ার জন্যে জোর করতে থাকে। যেহেতু বাবা-মা বলছে তাই মেয়েটা আর না করে না। চোখে ঘুম আর কৌতূহল নিয়েই বের হয় তাদের সাথে। কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা লক্ষ্য করে তার চাচি শাহিনা বেগমও তাদের সাথে যাচ্ছেন। মেয়েটা মনে করেছিল হয়তো সবাই একসাথে কোন দরকারি কাজে যাচ্ছে। 

কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা খেয়াল করে তার বাবা-মা বসতবাড়ির রাস্তা ছেড়ে কৃষি জমির দিকে যাচ্ছে। মেয়টা অবাক হয়েই জানতে চেয়েছিল তারা এখানে কেন এসেছে। কিন্তু বাবা-মা আর চাচি তাকে চুপ করে থাকতে বলে। মেয়েটার চোখেমুখে তখনও ঘুমঘুম ভাব ছিল। কিছুক্ষণ পরই তারা একটা ভুট্টা ক্ষেতের কাছাকাছি আসে। এখানে এসেও কৌতূহলী হয়ে বাবা-মা আর চাচিকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিল তারা এত রাতে এখানে কেন এসেছে। কিন্তু তার আগেই পেছন থেকে জান্নাতীর হাত এবং মুখ জাপটে ধরে, যাতে চিৎকার করতে না পারে। তারপর মাথায় এবং শরীরে রড দিয়ে জোরে অঘাত করে। মেয়েটা ছুটে দৌড় দিতে চেয়েছিল কিন্তু আকস্মিক আঘাতের কারণে আর পারে না। 

তারপর বাবা-মা এবং চাচি শাহিনা বেগম মিলে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে মেয়েটাকে। মেয়েটা তখন অনেকটাই নিস্তেজ, তীব্র যন্ত্রণায় গোঙ্গাচ্ছিল শুধু। তিনজন মিলে অনবরত কোপাতে থাকে মেয়েটাকে, চারদিকে র*ক্ত ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর সেখানেই মারা যায় মেয়েটা। পূর্ব পরিকল্পনায় অংশ হিসেবে বাবা-মা এবং চাচি মিলে মেয়েটাকে মেরে ওই ভুট্টা খেতেই রেখে চলে আসে। এ ঘটনা শনিবারের। পরদিন সকালে স্থানীয় কৃষকেরা যখন জমিতে কাজ করতে যায় তখন সেখানে জান্নাতীর লা*শ দেখতে পায়। লাশ দেখতে পেয়ে খোঁজ দেয় বাবা-মাকে। তারা এসে কতক্ষণ কান্নাকাটির নাটক করে যাতে কেউ বুঝতে না পারে।

তারপর মেয়ের চাচা এবং বাবা-মা মিলে প্রতিবেশী ২৭ জনের নামে মামলা করে। তারপর পুলিশ তাৎক্ষণিক সেই প্রতিবেশীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে কিন্তু পুলিশ কিছুতেই সুরাহা করতে পারছিল না। সবাই অস্বীকার করছিল। পুলিশ আরও জোর দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তু কাজ হয় না। এর দুইদিন পর পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত করে কিছু ক্লু পায়। সেই ক্লু ধরে পুলিশ মেয়েটার বাবা-মা এবং চাচা চাচিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে থানায় নিয়ে আসে। তারা থানায় এসেই ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে থাকে এবং তাদেরকে ফাঁসি দিতে বলে। বাবা-মা বারবার বলতে থাকে আমার মেয়েটাকে ওই প্রতিবেশীরাই মিলে মেরেছে। কিন্তু পুলিশ সেই কথায় পাত্তা না দিয়ে তাদের স্বাভাবিক ইনভেস্টিগেশন চালিয়ে যেতে শুরু করে। একপর্যায়ে যখন জোরলো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং ক্লু গুলো সামনে নিয়ে আসে তখন চাচি শাহিনা বেগম পুলিশের কাছে স্বীকার করে ফেলে যে তারাই মেয়েটাকে শনিবার রাতে মেরেছে। বাবা-মা তখনও স্বীকার করেনি। কিন্তু চাচি শাহিনা বেগমের স্বীকারোক্তির পর বাবা-মা ও বুঝে যায় বাঁচার আর কোন পথ নেই। তারপর মেয়েটার বাবা জাহিদুল ইসলাম এবং মা মোর্শেদা বেগমও স্বীকার করে যে তারা তিনজন মিলেই মেয়েটাকে নির্মমভাবে মেরেছে।

তারপর মারার কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা জানায়- প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে মেরেছে। প্রতিবেশীদের সাথে তাদের একটা ৩২ বিঘা জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল বহুদিন ধরেই। তাই চাচি শাহিনা বেগম তাদেরকে প্ল্যান দিয়েছিল নিজ মেয়েকে মেরে ওই জমিতে রেখে আসতে। 

তারপর তারা মামলা করবে প্রতিবেশীদের নামে। এতে করে মামলায় প্রতিবেশীদের জেল হলে তারা সহজেই ৩২ বিঘা জমিটা দখল দিয়ে নিজেদের করে নিতে পারবে। এজন্যেই তারা ২৭ জন প্রতিবেশীর নামে মামলা করেছিল যাতে ওই পরিবারের সবার জেল হয়। এ স্বীকারোক্তি গুলো কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হাবিবুল্লাহ সংগ্রহ করেছেন এবং ভেরিফাই করে সত্যায়িত করেছেন। তাছাড়া মেয়েটাকে কিভাবে কিভাবে মারা হয়েছিল সে ঘটনার স্বীকারোক্তিও বাবা-মায়ের  কাছ থেকেই পুলিশ নিয়েছে। জান্নাতী মেয়েটার বয়স খুব বেশি না, ১৫ বছর বয়স মাত্র। পড়াশোনা করত ক্লাস নাইনে। গ্রামের সবাই এ ঘটনায় খুবই অবাক হয়েছে এবং মেয়েটার জন্যে শোকাহত হয়ে কেঁদে কেঁদে বলছিল- মেয়েটার আচার ব্যবহার খুবই ভালো ছিল। 

মেয়েটার স্কুলের শিক্ষক এবং সহপাঠীরাও জানিয়েছে- মেয়েটা পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিল। বেঁচে থাকলে সামনের বছরই এসএসসি পরীক্ষা দিতো। হয়তো ভালো একটা রেজাল্টও করতো। আমাদের চারপাশে কতশত দম্পতির সন্তান হয়না বিধায় এ হসপিটাল থেকে ও হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করে দিন পার করে। একটা সন্তানের জন্যে কত হাহাকার করে। 

অথচ সামান্য কিছু জমির জন্যে নিজ বাবা-মা আর চাচির হাতেই খুন হতে হলো হাসিখুশি মেয়ে জান্নাতির।

রামপালে ডেভিলহান্ট অপারেশন চলাকালীন সময়ে উক্ত অভিযানে হুড়কা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তপন গোলদার কে গ্রেফতার করা হয়।

স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে উঠেছে সরকার তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। 

শুক্রবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে সরকার জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া, সরকারের পক্ষে থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন সম্পর্কে জনমনে ক্ষোভ বিষয়ে সরকার অবগত। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরদার হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়েও প্রশ্ন তোলে। 

বৃহস্পতিবার রাত থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সেখানে সমাবেশও শুরু হয়েছে।  

(বণী আমিন স্টাফ রিপোর্টার)

রামপাল থানা দিন গৌরম্ভা ইউনিয়নের বর্ণী গ্রামের নজরুল শেখ নামে, এক ব্যক্তির মাছের ঘের অবৈধভাবে লুট ও দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নজরুল শেখ জানান তিনি বর্ণী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তার দখলিও জমিতে ২০ বছর যাবত সে ঘের করে আসছে। নগদ টাকার প্রয়োজনে গত দুই বছর যাবত সেই ঘের সে বিক্রি করে আসছে হারির মাধ্যমে কিন্তু ৫ই আগষ্টের পর কতিপয় কিছু দুস্কৃতিকারী লোক বর্ণী গ্রামের বাসিন্দা হয়ে সেই ঘের অবৈধভাবে  লুটপাট চুরি এবং দখলদারির চেষ্টা চালায় এবং কিছুদিন তারা চুরি করে রাতের আঁধারে ঘেরের মাছ নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় নজরুল শেখ আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তারা জোর করে ঘেরের মাছ চুরি করতে থাকে। উপায় না পেয়ে নজরুল শেখ ঘেরটি অন্য এক ব্যাক্তির কাছে  বিক্রি করে দেয়। এতে পাগল হয়ে দুষ্কৃতকারীর লোকজন এক পর এক তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন বিভিন্ন জায়গায়। এই জমিতে মামলা চলমান। এই জমির সিএস দাগ নং ১০৮, এসে দাগ নং ১১৮, মামলা নং ২৭/১২। এর পিছনে মুখোশধারী কতিপয় রাজনৈতিক লোক তাকে ইন্দোন দিচ্ছে। এই জাতীয় লোক জলস্থল উভয় স্থানের সমানভাবে বিচরণ করে থাকে। গ্রুপ করে একজনের, আর স্বক্ষতা করে রেখেছে অন্য আর এক গ্রুপের লোকজনদের সাথে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়  এই জাতীয় লোকদের দ্বারা এই ভাবেই হয়েছিল। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় নাম না প্রকাশে কয়েক জন লোক সত্যতা স্বীকার করে বলে শুধু ঘের চুরি নয় মসজিদের মটর চুরি থেকে শুরু করে বাড়িঘর  চুরি হচ্ছে একটি চক্র দ্বারা। এরা কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তাই ভুক্তভোগী নজরুল দ্বারে দ্বারে  সুবিচার পাওয়ার আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে যেই রাজনীতির সাথেই সম্পৃক্ত থাকুক না কেন? সুবিচার পাওয়ার অধিকার সবাই রাখে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়।

৬ নং বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নবাসী ইউনিয়ন পরিষদের সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক তিনি নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে আসেনা নাগরিক সনদ পেতে ইউনিয়নবাসীকে দিনের পর দিন ইউনিয়ন পরিষদে আসতে হচ্ছে,তার পর এসে তাকে না পেয়ে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।

তার ফোন নম্বর চাইলে দায়িত্ব প্রাপ্ত হিসাব সহকারী তার নম্বর দিতে অস্বীকার করে নম্বর দেওয়া নিষেধ।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে থাকা প্রশাসক যদি না আসতে পারে তার সাথে যোগাযোগ করার নম্বর যদি ন পাওয়া যায়। তাহলে এমন মানষের দরকার নাই বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নবাসীর

1745685729291
১ min read

বিশেষ প্রতিনিধিঃ আবু রাসেল বাপ্পি

গৌরম্ভা ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ শেখ শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক ছিলেন আর এটাই তার জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছিল, এই ইতিহাস গৌরম্ভা ইউনিয়ন সহ রামপাল, মোংলার আপামর জনসাধারণ এই নির্মম সত্য ইতিহাস গুলো নিশ্চিত ভাবে জানেন।

এমন কোন দিন নাই পূর্ব বাংলার আঞ্চলিক কমান্ডার সোয়েব ও সুমন সহ স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত মুঠো ফোনে হুমকি দিয়ে জানিয়েছে আজকের দিনটি তোর শেষ দিন সুতরাং মৃত্যুর আগে যাকিছু মনে চায় করে, প্রস্তুতি নিয়ে থাকিস এছাড়াও জনযুদ্ধের অন্য আরেক বাহিনীর প্রধান বিডিআর আলতাফ প্রতিনিয়ত হালিয়ার উপর থেকে এসে বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ করত (তবে বিডিআর আলতাফ সম্পর্কে এই ধরনের কার্য কালা পের তেমন কোন সত্যতা তদন্তে উঠে আসেনি) । আজ সাবেক বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এর একটি মাত্র প্রশ্ন জনগণের নিকট! আপনি/আপনারা বলুন? আপনাদের জীবনে যদি প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা হতো তাহলে আপনি অথবা আপনারা কি করতেন? আপন ভাইকে সকালে হাসিমুখে বিদায় দিয়ে যদি দুপুর হওয়ার আগেই মৃত নিথর দেহ দেখতে হয়, তাহলেই-বা আপনি অথবা আপনারা তখন কি করতেন। গৌরম্ভা ইউনিয়নের কতিপয় কিছু লোক বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন ভাশায় নিন্দুক দের মতো জনে, জনে গিয়ে বলে থাকেন যে, আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে যা-কিছু ঘটেছে এই সব কিছু নাকি তাদের পারিবারিক শত্রুতার সূত্রপাত থেকে শুরু হয়েছিল। আমাদের অনুসন্ধানে যতটুক উঠে এসেছে সেই সত্যতা প্রমাণিত হয় যে বিএনপির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে পারিবারিক শত্রুতা শুরু হতে পারে এমন কোন ঘটনার সঙ্গে বিষয় টি যায়না। বিএনপির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ সেলিম সরদার এর ব্যাক্তিগত কোন কারণে ঝামেলা তৈরী হতে পারে এমন কোন বিষয় আমাদের অনু সন্ধানী টীম এমন কোন ধরনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। ৫০ বছরের ভিতরে আসাদ পরিবারের সাথে সেলিম পরিবারের কোন পারিবারিক ও বৈবাহিক সম্পর্কও নাই সুতরাং যৌতুক এবং বিবাহ বিচ্ছেদ পারিবারিক মারামারি গ্যাঞ্জামের ও কোন প্রশ্ন আসে না। এই বিষয় গুলো খতিয়ে দেখলেই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, পারিবারিক শত্রুতার কোন অবকাশ নেই। আমরা একটু পিছনের কয়েক লাইন আগের লেখায় যে বিষয় টি উঠেছিল কি অপরাধ ছিল তার আপন ভাইয়ের? কেন তাকে সেই দিন এতটা নিষ্ঠুরভাবে ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল? আমাদের অনুসন্ধানে যতটা জানা সম্ভব হয়েছে সেই বিষয় টি হলো গৌরম্ভা ইউনিয়ন বাসী সকলেই সেই দিনের সেই একটি কালো অধ্যায়ের কথা প্রায় সকলেরই জানা। আমরা এই একটা বিষয় নিশ্চিত হতে পেরেছি যে: আসাদুজ্জামান আসাদের জন্ম একদিনে হয়নি! আসাদ একটা জীবন্ত কিংবদন্তি, বিএনপি করার অপরাধে বিএনপির সভাপতি হিসেবে ২০০৮ থেকে আজ ২০২৪পর্যন্ত তার জীবন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অবশেষে আসাদুজ্জামান আসাদের জীবন থেকে হারিয়েছে কিছু সোনালী দিন, সোনালী মূহুর্ত, হারিয়েছেন হাত সহ জীবনের অনেক সোনালী অধ্যায়।

খুলনায় পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ স’ন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুকে গ্রেফতার করেছে খুলনা মহানগরীর শামসুর রহমান রোডে অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর অভিযান বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৪:০০ টা থেকে শুরু হয়ে সকাল ৮:০০ পর্যন্ত চলে, এই অভিযানের সময়ে গ্রেনেড বাবু ও তার সহযোগী সোহাগের ঘর থেকে যৌথ বাহিনী নগদ টাকা, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রে’নেড বাবুর পিতা, ভাই এবং ম্যানেজারের মাকে আ’টক করে তারা। খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন হোসেন মাসুম একাত্তর নিউজ ও অনলাইন টিভি moon tv 4k কে জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ৯ এমএম পি’স্তল, ৪ রাউন্ড পি’স্তলের গু’লি, একটি ম্যাগাজিন, একটি চা’পাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সময় মা’দক বিক্রির ৩৮ লাখ  টাকা এবং পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এই সময় (১) গ্রেনেড বাবু সহ মোট ৫ জন কে গ্রেফতার করা হয়। (২) রাব্বি চৌধুরী (আনুঃ ২১), (৩) সুমন (আনুঃ ২৭), (৪) জুনায়েদ চৌধুরী (আনুঃ৭০) ও  (৫) মোঃ আরাফাতকে আ’টক করা হয়।

রামপালের গৌরাম্ভা ইউনিয়নে আনুঃ চার (৪) বছরের শিশু এবং শিশুটির মাসি নিজ বাড়িতে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে মাসি এবং ভাগ্নে একই পুকুরে পানিতে ডুবে মৃত্যু বরন করে। জানা যায় শিশুটির মাসি বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে, এই ঘটনার স্বীকার হয়েছে। এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে গেল রামপালের গৌরম্ভা বাজার সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বাচ্চাটির নাম চৈতন্য। আজকের এই ঘটনা ঘটে যাবার কিছু সময় পর থেকেই এই শিশুটির বাড়িতে উক্ত সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের যাতায়াত ছিলো চোখে পড়ার মতো। একই পরিবারের একই সাথে দুইজনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকা জুড়ে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় শিশু ও শিশুটির মাসি দুজনের কেউ’ই সাতার জানতেন না। শিশুটির মাসির বাড়ি যশোরের চুয়াডাঙ্গাতে। ঈদের ছুটিতে নিজের ছোট মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে এসেছে বোনের বাড়িতে। আজ দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ওদের বাড়ির কাছে পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসল করার সময় সম্ভাবত ভাগ্নে চৈতন্য পুকুরের মাঝখানের দিকে চলে যায় সেই সময় শিশুটির মাসি তাকে উদ্ধার করার আসায় নিজেও এগিয়ে যায় ভাগ্নের দিকে। সাধারনত পানির নিচে পড়ে যাওয়া কিছু ধরতে গেলে স্লিপ করে, সুইং করে করে সরে যায়। দুজনের কেউ’ই সাতর জানতো না। মাষিমা নিজেও সাতার জানেনা তাই উনি ও আর পানির ভিতর নিজেকে ব্যালেন্স করতে পারিনি। ঘটনার একটু পর বাড়ির লোক খোজাখুজি করতে গিয়ে দেখে মাসিমার কাপড়ের অংশ অনেকটা পানির উপর ভেসে আছে, তার মানে মাসিমা পানি খেতে খেতে ডুবে মরে কিছুটা ভেসে উঠেছে তবে বাচ্চাটি ভাসেনি। বাচ্চাটি ডুবেছিলো। দিক বিদিক অবস্থার ভিতর তারোক নামের এক ব্যাক্তি এসে পুকুরের মাঝখানের দিকে একটা জায়গা যেখানে ক্রেন দিয়ে খুচে অনেক গভীর করা,, ঐখানে তারোক অনেকটা দম নিয়ে ডুব দিয়ে একদম নিচে চলে যায় এবং হাতড়াতে থাকে, এক পর্যায়ে বাচ্চার পা তারোকের হাতে বাধে, তখন তারোক বাচ্চাটির পা ধরে টেনে উপরে তুলে নিয়ে আসে। সাথে সাথেই বাচ্চাটিকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় চিকিৎসক প্রথমে শিশু ও পরে শিশুর মাসিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই পৃথিবীতে মহাদেশের সংখ্যা কতগুলি? সবাই সহজেই এর উত্তরে ৭ বললেও, একটু সমস্যা থেকেই যায়। কারণ আমাদের জানা এই ৭টি মহাদেশ ছাড়াও আরও একটির হদিশ রয়েছে এই পৃথিবীতেই। আর ৪ বছর হয়ে গেল সেই মহাদেশ আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তবুও কোনো মানচিত্রে বা কোথাও সেই নতুন মহাদেশের নাম নেই কেন? সে কাহিনিতেও আসা যাবে, তবে তার আগে থাকল এই মহাদেশ আবিষ্কারের কাহিনি। যার জন্য অভিযাত্রীদের লেগে গিয়েছে ৩৭৫ বছর।

আসলে ইউরোপের অনেক অভিযাত্রীই মনে করতেন, ল্যাটিন আমেরিকা ছাড়িয়ে আরও দক্ষিণ-পশ্চিমে গেলে একটা নতুন মহাদেশের সন্ধান পাওয়া যাবে। সাধারণ মানুষ অবশ্য সেই ভাবনাকে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিতেন। তেমনই এক ‘পাগল’ অভিযাত্রী আবেল তাসমান। ডাচ তাসমান একদিন জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন সেই নতুন মহাদেশের সন্ধানে। সেটা ১৬৪২ সাল। পুরু গোঁফে তা দিয়ে তাসমান জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি জয়ী হয়েই ফিরবেন।

নতুন মহাদেশের সন্ধান অবশ্য পেয়েছিলেন তাসমান। ল্যাটিন আমেরিকা পেরিয়ে আরও বেশ খানিকটা এগিয়ে যেতেই সমুদ্রের বুকে দেখা মিলল স্থলভাগের। তবে সেই আদিম জনজাতি অধ্যুষিত স্থলভাগে ইউরোপীয়দের পক্ষে পা রাখা সহজ ছিল না। বেশ কয়েক দফায় যুদ্ধ জিতে অবশেষে শুরু হল ‘সভ্যতার জয়যাত্রা’। তবে না, তাসমানের আবিষ্কার করা সেই মহাদেশ আমাদের অজানা নয়। এটি ওসেয়ানিয়া মহাদেশ। মানে অস্ট্রেলিয়া নামেই যাকে বেশিরভাগ মানুষ চেনেন। অবশ্য এছাড়াও সেখানে আছে নিউজিল্যান্ডের মতো দেশও।

তবে অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারেই কিন্তু অভিযান থেমে থাকল না। কারণ অনেকে তখনও বিশ্বাস করেন, যে মহাদেশের সন্ধান করতে গিয়েছিলেন তাসমান তা তিনি পাননি। অবশেষে ২০১৭ সালে পাওয়া গেল সেই অজানা মহাদেশের হদিশ। নিউজিল্যান্ডের একদল অভিযাত্রী সেই মহাদেশের সন্ধান দিলেন। এমনকি সেই আবিষ্কারের প্রমাণও হাজির করলেন তাঁরা। এখানে একটু অবাক হওয়ার বিষয় আছে। কারণ পৃথিবীর মানচিত্র আঁকতে এখন আর জাহাজ নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দিতে হয় না। স্যাটেলাইটের ছবিতেই সব ধরা পড়ে। তাহলে সেখানে একটা আস্ত মহাদেশের অস্তিত্ব ধরা পড়ল না?

আরও পড়ুনডিঙি নৌকায় আন্দামান পাড়ি, উত্তাল সমুদ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বাঙালি অভিযাত্রী

আসলে এটিকে মহাদেশ বলা হলেও তার অবস্থান কিন্তু সমুদ্রের নিচে। উপরে রয়েছে প্রায় ২ কিলোমিটার উঁচু জলস্তর। আর অভিযাত্রীরা তার নাম দিয়েছেন জিল্যান্ডিয়া। আর এর আয়তন ৪.৯ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার। এখানে প্রশ্ন জাগে, সমুদ্রের নিচে থাকা কোনো ভূখণ্ডকে কি মহাদেশ বলা চলে? এর সপক্ষে অবশ্য বেশ কিছু সংজ্ঞা ও নথি হাজির করে নিউজিল্যান্ডের ভূতাত্ত্বিকরা প্রমাণ করেছেন, যেহেতু সমুদ্রগর্ভ থেকে ভূখণ্ড অনেকটাই উঁচুতে তাই তাকে মহাদেশ বলে মেনে নিতেই হয়। তবে ৩৭৫ বছর ধরে অনুসন্ধানের পর যে মহাদেশের হদিশ পাওয়া গেল, তাকে এখনও স্বীকৃতি দিতে রাজি নন অনেকেই।

HALAL MONEY ONLINE INTERNATIONAL BANK.

আরও পড়ুনখড়ের নৌকোয় বহরমপুর থেকে কলকাতা, দুঃসাহসিক অভিযান ১০ বাঙালির

এর পিছনে অবশ্য রাজনৈতিক কারণকেই দায়ী করছেন নিউজিল্যান্ডের গবেষকরা। আসলে এই মহাদেশকে স্বীকৃতি দিলেই নিউজিল্যান্ডকে আর ওসেয়ানিয়ার অংশ বলা চলে না। কারণ একই ভূখণ্ডের কিছুটা উঠে এসেছে সমুদ্রের উপরে। আর তারই নাম নিউজিল্যান্ড। ফলে নিউজিল্যান্ডের সীমানা যেমন অনেকটাই বেড়ে যাবে, তেমনই বাড়বে রাজনৈতিক ক্ষমতাও। আর এইসব কারণেই নাকি চেপে রাখা হয়েছে আস্ত একটি মহাদেশের খবর। রাজনৈতিক চাপানউতোর চলতেই থাকবে। কিন্তু এই আবিষ্কারের কাহিনি সত্যিই রোমাঞ্চকর।

আরও পড়ুনঅভিযাত্রী গালওয়ানের নামেই নামকরণ উপত্যকার, নিজেও সাক্ষী ছিলেন চিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের

তথ্যসূত্রঃ দ্য মিসিং কন্টিনেন্ট ইট টুক ৩৭৫ ইয়ার্স টু ফাইন্ড, জারিয়া গর্ভেট, বিবিসি