রামপালের গৌরম্ভা ইউনিয়নে অপমৃত্যু
রামপালের গৌরাম্ভা ইউনিয়নে আনুঃ চার (৪) বছরের শিশু এবং শিশুটির মাসি নিজ বাড়িতে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে মাসি এবং ভাগ্নে একই পুকুরে পানিতে ডুবে মৃত্যু বরন করে। জানা যায় শিশুটির মাসি বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে, এই ঘটনার স্বীকার হয়েছে। এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে গেল রামপালের গৌরম্ভা বাজার সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বাচ্চাটির নাম চৈতন্য। আজকের এই ঘটনা ঘটে যাবার কিছু সময় পর থেকেই এই শিশুটির বাড়িতে উক্ত সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের যাতায়াত ছিলো চোখে পড়ার মতো। একই পরিবারের একই সাথে দুইজনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকা জুড়ে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় শিশু ও শিশুটির মাসি দুজনের কেউ’ই সাতার জানতেন না। শিশুটির মাসির বাড়ি যশোরের চুয়াডাঙ্গাতে। ঈদের ছুটিতে নিজের ছোট মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে এসেছে বোনের বাড়িতে। আজ দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ওদের বাড়ির কাছে পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসল করার সময় সম্ভাবত ভাগ্নে চৈতন্য পুকুরের মাঝখানের দিকে চলে যায় সেই সময় শিশুটির মাসি তাকে উদ্ধার করার আসায় নিজেও এগিয়ে যায় ভাগ্নের দিকে। সাধারনত পানির নিচে পড়ে যাওয়া কিছু ধরতে গেলে স্লিপ করে, সুইং করে করে সরে যায়। দুজনের কেউ’ই সাতর জানতো না। মাষিমা নিজেও সাতার জানেনা তাই উনি ও আর পানির ভিতর নিজেকে ব্যালেন্স করতে পারিনি। ঘটনার একটু পর বাড়ির লোক খোজাখুজি করতে গিয়ে দেখে মাসিমার কাপড়ের অংশ অনেকটা পানির উপর ভেসে আছে, তার মানে মাসিমা পানি খেতে খেতে ডুবে মরে কিছুটা ভেসে উঠেছে তবে বাচ্চাটি ভাসেনি। বাচ্চাটি ডুবেছিলো। দিক বিদিক অবস্থার ভিতর তারোক নামের এক ব্যাক্তি এসে পুকুরের মাঝখানের দিকে একটা জায়গা যেখানে ক্রেন দিয়ে খুচে অনেক গভীর করা,, ঐখানে তারোক অনেকটা দম নিয়ে ডুব দিয়ে একদম নিচে চলে যায় এবং হাতড়াতে থাকে, এক পর্যায়ে বাচ্চার পা তারোকের হাতে বাধে, তখন তারোক বাচ্চাটির পা ধরে টেনে উপরে তুলে নিয়ে আসে। সাথে সাথেই বাচ্চাটিকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় চিকিৎসক প্রথমে শিশু ও পরে শিশুর মাসিকে মৃত ঘোষণা করেন।
