
রামপালের গৌরম্ভা এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি: রামপাল উপজেলা।
রামপালের ১ নং গৌরম্ভা ইউনিয়ন বর্তমানে মাদকের স্বর্গরাজ্য। গত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগের নেতাকর্মীদের মদদে ও একই ভাবে মাদক ব্যাবসায়ীদের যেমন কোন প্রকার সমস্যা ছাড়া একক আধিপত্য ছিলো মাদকের, বর্তমানেও ঐ একই মাদক ব্যাবসায়ীরা শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদী দল ও জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের মদদে বিক্রয় চালিয়ে যাচ্ছে, অতীতের কোন পরিবর্তন হয়নি। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগের সময় উক্ত মাদক ব্যাবসায়ীদের নামে তালিকা করে তবু্ও মাঝে মধ্যে একটু অভিযান চালানো হতো। এখন বাংলাদেশের এই লাজুক পরিস্থিতিতে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় না থাকায় মাদক ব্যাবসায়ীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে কারণ এখন বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও গত জুলাই স্বৈরাচার সরকারকে হটানোর জন্য অংশগ্রহণকারী গণঅভ্যুত্থানে জড়িত ছাত্রদের আরেকটি দল, মোট এই তিন দলের সমর্থক সকল নেতাকর্মীদের কথা শুনতে হচ্ছে পুলিশের। এখানে পুলিশকে দোষারোপ করারও কোন সুযোগ নেই তার প্রধান কারণ কোন পুলিশ অফিসারগন যদি এই তিন দলের নেতাকর্মীদের কথা না শুনে, সেইক্ষেত্রে তাকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লীগের অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করে দিচ্ছে, সেই সাথে তাকে চাকুরীচ্যুত সহ নানাবিধ মামলায় জড়িয়ে জেল খাটানো হচ্ছে। এই ধরনের ঝামেলা এড়াতে বর্তমান ক্ষমতা সীল তিন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হুকুমে চলতে গিয়ে, মাদক ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযান চালানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছে না। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে মাদক ব্যাবসায়ীর আরও বেশি বেপরোয়া ভাবে মাদক বেচাকেনা করছে। পাচ্ছে না পুলিশের ভয়, এমনকি কোন বাহিনীকেই তোয়াক্কা করছে না এই সকল মাদক ব্যাবসায়ীরা। গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাধারণ জনগণদের নিকট এই মাদক ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না শুধুমাত্র এতটুকু জানা সম্ভব হয়েছে যে: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও যারা ব্যাবসা করতো ঠিক একই ব্যাক্তিরা আরও বেশি দাপটের সঙ্গে বেপরোয়া ভাবে মাদক বেচাকেনা করছে। সাধারণ জনগণ পরবর্তীতে শুধুমাত্র এতটুকু বলেছে যে, যদি পুলিশ বাহিনী কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতা না যাওয়া পর্যন্ত যদি ঐ সকল নেতাকর্মীদের কথা শুনতে পারবো না বলে জানিয়ে দিয়ে, পূনরায় আবারও বহালতবিয়তে নিজেদের পাওয়ার কাজে লাগিয়ে মাদক বিরোধী অভিযানে নামে আর এই মাদক ব্যাবসায়ীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার করে আর বর্তমান রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয় যে, মাদক, জুয়া সহ যে সকল কারণে সমাজের ক্ষতি হয়, এই ধরনের ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করলে কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হুকুমে এদের কে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না, বলে জানিয়ে দেয় তাহলে হয়তো মাদক ব্যাবসায়ীরা বেপরোয়া ভাবে মাদক বেচাকেনা থেকে বিরতি নিয়ে যে যার ঘরে উঠে যাবে। আর মাদক বিক্রেতারা ঘরে উঠে গেলে, মাদক সেবনকারীদের সংখ্যাও কমে যাবে। এতে করে গৌরম্ভা ইউনিয়ন হতে মাদক কে উচ্ছেদ করা সম্ভব অন্যথায় কোনো ভাবেই গৌরম্ভা ইউনিয়ন হতে মাদক মুক্ত করা সম্ভব নই। গৌরম্ভা ইউনিয়ন বাসীর এখন একটা মাত্র প্রত্যাশা পুলিশের কাছে – মাদক ব্যাবসায়ীদের গ্রেফতার করলে কারোর কোন প্রকার সুপারিশ গ্রহণ যোগ্য হবে না। এছাড়া গৌরম্ভা ইউনিয়ন হতে ছদ্মবেশে ঈদের আগের রাতে ঘুরে যতটা জানা সম্ভব হয়েছে, মাদক বিক্রেতাদের তালিকা খুব বেশি বড় নই, মুষ্টিমেয় কিছু ব্যাক্তি এই ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত আর শুধুমাত্র ঈদের আগের রাতে একজন মাদক ব্যাবসায়ী নিজের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হবে না সেই শর্তে তিনি জানালেন শুধুমাত্র আজকের রাত ১১:০০ টা পর্যন্ত পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো শুধু ইয়াবা বিক্রি করেছেন তিনি, সেই হিসাব থেকে ধারণা করা যায় যে, যেখানে ইয়াবা তৈরী হয়, সেখানেও হয়তো এক দিনে এতো টাকার ইয়াবা বিক্রি হয় না। অবশেষে পুলিশ বাহিনীর নিকট উক্ত এলাকার একটাই দাবী অতি দ্রুত যদি মাদক বিরোধী অভিযান চালানোর ব্যাবস্থা না করে তাহলে হয়তো দেখা যাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের হাত পর্যন্ত মাদক পৌঁছাতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে বলে মনে করছেন না।
আমার নিজের এলাকার সংবাদ প্রচার করতে যখন ঢাকা অফিসে পাঠানো হলো, তখন দেখে সত্যি একটু অবাক হয়েছি। আমি নিজেই নাকি মাধক বিক্রেতাদের গডফাদার ছিলাম অজানা মন হঠাৎ করেই জানতে চাইল তাহলে এখন এই আন্ডারওয়ার্ল্ড এর গডফাদার এর নাম কি? কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি যদি জানেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট অপশনে গিয়ে একটা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন।