বিশেষ প্রতিনিধিঃ আবু রাসেল বাপ্পি
গৌরম্ভা ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ শেখ শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক ছিলেন আর এটাই তার জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলেছিল, এই ইতিহাস গৌরম্ভা ইউনিয়ন সহ রামপাল, মোংলার আপামর জনসাধারণ এই নির্মম সত্য ইতিহাস গুলো নিশ্চিত ভাবে জানেন।
এমন কোন দিন নাই পূর্ব বাংলার আঞ্চলিক কমান্ডার সোয়েব ও সুমন সহ স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত মুঠো ফোনে হুমকি দিয়ে জানিয়েছে আজকের দিনটি তোর শেষ দিন সুতরাং মৃত্যুর আগে যাকিছু মনে চায় করে, প্রস্তুতি নিয়ে থাকিস এছাড়াও জনযুদ্ধের অন্য আরেক বাহিনীর প্রধান বিডিআর আলতাফ প্রতিনিয়ত হালিয়ার উপর থেকে এসে বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ করত (তবে বিডিআর আলতাফ সম্পর্কে এই ধরনের কার্য কালা পের তেমন কোন সত্যতা তদন্তে উঠে আসেনি) । আজ সাবেক বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এর একটি মাত্র প্রশ্ন জনগণের নিকট! আপনি/আপনারা বলুন? আপনাদের জীবনে যদি প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা হতো তাহলে আপনি অথবা আপনারা কি করতেন? আপন ভাইকে সকালে হাসিমুখে বিদায় দিয়ে যদি দুপুর হওয়ার আগেই মৃত নিথর দেহ দেখতে হয়, তাহলেই-বা আপনি অথবা আপনারা তখন কি করতেন। গৌরম্ভা ইউনিয়নের কতিপয় কিছু লোক বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন ভাশায় নিন্দুক দের মতো জনে, জনে গিয়ে বলে থাকেন যে, আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে যা-কিছু ঘটেছে এই সব কিছু নাকি তাদের পারিবারিক শত্রুতার সূত্রপাত থেকে শুরু হয়েছিল। আমাদের অনুসন্ধানে যতটুক উঠে এসেছে সেই সত্যতা প্রমাণিত হয় যে বিএনপির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে পারিবারিক শত্রুতা শুরু হতে পারে এমন কোন ঘটনার সঙ্গে বিষয় টি যায়না। বিএনপির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ সেলিম সরদার এর ব্যাক্তিগত কোন কারণে ঝামেলা তৈরী হতে পারে এমন কোন বিষয় আমাদের অনু সন্ধানী টীম এমন কোন ধরনের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। ৫০ বছরের ভিতরে আসাদ পরিবারের সাথে সেলিম পরিবারের কোন পারিবারিক ও বৈবাহিক সম্পর্কও নাই সুতরাং যৌতুক এবং বিবাহ বিচ্ছেদ পারিবারিক মারামারি গ্যাঞ্জামের ও কোন প্রশ্ন আসে না। এই বিষয় গুলো খতিয়ে দেখলেই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, পারিবারিক শত্রুতার কোন অবকাশ নেই। আমরা একটু পিছনের কয়েক লাইন আগের লেখায় যে বিষয় টি উঠেছিল কি অপরাধ ছিল তার আপন ভাইয়ের? কেন তাকে সেই দিন এতটা নিষ্ঠুরভাবে ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল? আমাদের অনুসন্ধানে যতটা জানা সম্ভব হয়েছে সেই বিষয় টি হলো গৌরম্ভা ইউনিয়ন বাসী সকলেই সেই দিনের সেই একটি কালো অধ্যায়ের কথা প্রায় সকলেরই জানা। আমরা এই একটা বিষয় নিশ্চিত হতে পেরেছি যে: আসাদুজ্জামান আসাদের জন্ম একদিনে হয়নি! আসাদ একটা জীবন্ত কিংবদন্তি, বিএনপি করার অপরাধে বিএনপির সভাপতি হিসেবে ২০০৮ থেকে আজ ২০২৪পর্যন্ত তার জীবন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অবশেষে আসাদুজ্জামান আসাদের জীবন থেকে হারিয়েছে কিছু সোনালী দিন, সোনালী মূহুর্ত, হারিয়েছেন হাত সহ জীবনের অনেক সোনালী অধ্যায়।